টাঙ্গাইলের নবাগত ৪০তম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেছেন শরীফা হক। বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি যোগদান করেন। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ কায়ছারুল ইসলাম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম -নবাগত জেলা প্রশাসক শরীফা হককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। পরে বিদায়ী জেলা প্রশাসককে গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে বিদায় দেয়া হয় এবং নবাগত জেলা প্রশাসক শরিফা হককে বরণ করে নেয়া হয়।
নবাগত জেলা প্রশাসক শরীফা হক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সেতু বিভাগের উপ সচিব ছিলেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সরকারী এক প্রজ্ঞাপনে তাকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলার ৫৪ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী জেলা প্রশাসক শরীফা হক। এর আগে তিনি সেতু বিভাগের উপসচিব ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পদে বদলি করা হয়। ঐ জেলায় যোগদানের পুর্বেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১১ সেপ্টেম্বর এক আদেশে তাকে টাঙ্গাইলে বদলি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলার নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শরীফা হক বিসিএস ২৫ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা, পিতা সরকারি কর্মকর্তা শামসুল হক ও মাতা লতিফা হক এর সন্তান শরীফা হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড স্কলারশিপ নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার University of Melbourne হতে পাবলিক পলিসি ও ম্যানেজমেন্ট এ মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস হতে এম.ফিল সম্পন্ন করেন। তিনি মাঠ প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জননী।
টাঙ্গাইল জেলাকে একটি শান্তিপূর্ণ জেলা এবং দেশের মধ্যে একটি রোল মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেই সাথে যেকোন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের প্রতি তিনি জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।