টাঙ্গাইলের নবাগত পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বলেছেন, টাঙ্গাইলবাসীর সহযোগিতায় সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে অপরাধ দমন এবং সুষ্ঠ নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে জেলাবাসীদের শান্তিতে রাখতে চাই। আমি টাঙ্গাইলের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি এখানে জনপ্রিয় হতে আসি নাই। আমি যে কাজ গুলো করতে চাই সেখানে কিছু মানুষ আমার বিপক্ষে থাকবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে থাকবো।
০৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারবো কি পারবো না সে বিষয়ে বলতে পারবো না। তবে মাদক গুলো কোন জায়গা থেকে আসছে কোথায় কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সেই মূল জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে চাই। এছাড়াও সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কাজ করবো। মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যেন হয়রানি না করা হয় সে বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করবো। সর্বোপরি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি খান মোহাম্মদ খালেদ, আতাউর রহমান আজাদ, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাহাবুদ্দিন মানিক’সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে তিনি সিনিয়র এএসপি হিসেবে ঝালকাঠি সদর সার্কেল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পিবিআই, নাটোর জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, চাঁদপুর জেলা পুলিশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে ৪ বছরেরও অধিককাল শিল্পাঞ্চল-৫, ময়মনসিংহ এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ গাজীপুর এর দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সাথে পালন করেন।
চাকুরীকালীন তিনি দেশে এবং বিদেশে ১৫টির অধিক গুরুত্বপূর্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি দুইবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সুদান এবং কঙ্গোতে পিসকীপার হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাদারিত্বপূর্ন পুলিশিং এর স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ব্যাজ এবং তার শুদ্ধাচার পুরষ্কার লাভ করেন। তার নিজ জেলা সাতক্ষীরা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক।