কুষ্টিয়া জেলার শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী কলেজ ‘কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদ দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই পক্ষগণের মধ্যে রশি টানাটানি হুমকি ধামকি হাতাহাতি ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা চলে আসছিলো। তারই জের ধরে গত দুইদিন পূর্বে বর্তমান দায়িত্বরত অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলামকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করে ইতোপূর্বে সাময়িক বরখাস্ত উপ অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিনকে অধ্যক্ষে চেয়ার বুঝে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং বর্তমান কলেজের গভর্নিং বডির আহŸায়ক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে। এঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করে।
এসময় তারা দাবি করেন, অধ্যক্ষের পদ দখলের প্রতিযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বরখাস্ত উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বর্তমান অধ্যক্ষ ও তাদের সমর্থক পক্ষগণের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দে প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুইদনি পূর্বে বর্তমানের অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলামনকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রান নাশের হুমকী দেয়া হয় এবং অধ্যক্ষের চেয়ার সাবিনা ইয়াসমিনকে বুঝে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। এরফলে গত দুইদিন ধরে অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম কলেজে না আসায় কলেজের
স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এমন কি চলমান মাস্টার্সের পরীক্ষা গ্রহনেও বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত এর সুষ্ঠ সমাধান করে কলেজের অপ্রীতিকর ঘটনার অবসান করতে হবে। অভিযোগ উঠেছে, গত ২৪ জানুয়ারী, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলামকে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারের নেতৃত্বে কলেজের কিছু কাগজপত্র সই করার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যান জেলা বি এন পির সদস্য
সচিব ইঞ্জিয়ার জাকির হোসেন সরকারের নেতৃত্বে তার নিজ গাড়িতে জোর পূর্বক অধ্যক্ষকে শহরের র্যাব গলির মধ্যে মেরিট স্কুলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের মনোনীত ভাইস প্রিন্সিপাল সাবিনা ইয়াসমিন সহ রনি নামে কলেজের আরেক শিক্ষক পূর্ব হতেই অবস্থান করছিলেন।
সেখানে একপর্যায়ে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের উপর নির্যাতন চালিয়ে হুমকি দিয়ে পদ ছেড়ে সেকানে সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার কথা বলেন। কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা বি এন পির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার সহ তার অনুসারীরা একাধিকবার নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলামের অভিযোগ, প্রায় দেড় দশকের সময়কাল ধরে উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিনের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা তেকে সৃষ্ট বিবদমান
দ্বন্দে কলেজের মধ্যে একাধিকবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এসমস্ত ঘটনা আমাকে মানসিক ভাবে চরম বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সর্বশেষ ঘটনার মধ্যদিয়ে আজ মানসিক ও শারিরীক দুই ভাবেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। আমি শান্তি চাই। এভাবে চলতে পারে না। আমি চাই গভর্নিং বডি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটা সুরাহ করে দিন”। এবিষয়ে গভর্নিং বডির এ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার জানান, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য আমার অফিসে এসেছিলেন। পরে রাত ১০টার দিকে আমার গাড়িতে করেই তাকে তার নিজ বাড়ি পিটিআই রোডে পৌছে দিই’।