টাঙ্গাইলে বিভিন্ন দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও ২০ আগস্ট এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও চার স্তরীয় পদসোপান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
সারা দেশে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছন। শিক্ষকদের অভিযোগ বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকেরা ১০ম গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশ করেন। অথচ একই যোগ্যতার অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তা নবম গ্রেডে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বাড়তি কিছু চাই না। শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। একসময় যারা মাধ্যমিকের সমপর্যায়ের গ্রেডে ছিল, তারা এখন মাধ্যমিকের উপরের গ্রেডে। তাই আমরা চাই ন্যায্যতা, বৈষম্যহীন পদসোপান। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” আমাদের দাবি এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড এবং চার স্তরীয় পদসোপান। চার স্তরীয় পদসোপান বাস্তবায়িত না হওয়ায় পদোন্নতিতে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছি আমরা। অনেকেই পুরো চাকরি জীবন শেষ করেও উচ্চতর পদে যেতে পারছেন না। তাই আমাদের দাবি, এটি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। “একজন কলেজ শিক্ষক নবম গ্রেডে চাকরি শুরু করেন, কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষক ১০ম গ্রেডে। অথচ দায়িত্ব কোনো অংশে কম নয়। এটি আমাদের পেশার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।”
আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলার ৫ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। তারা টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি ও মানব বন্ধন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। আন্দোলনে শিক্ষকদের মুখপাত্র হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র শিক্ষক আবদুল কদ্দুছ, মুহাম্মদ শাহীন আল মামুন, আ.ন.ম বজলুর রহমান ও মো: মো: খালিদ হাসান।