বন্যার্তদের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)পঞ্চম দিনের মতো গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ত্রাণ দিতে টিএসসিতে আসছেন।স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, অন্য দিনের তুলনায় আজ একটু চাপ কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে অনেকেই মনে করেছে ত্রাণের কার্যক্রম বন্ধ আছে। কিন্তু আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত সংগ্রহীত অর্থ-সামগ্রী দিয়ে বন্যাকবলিত জেলায়গুলোয় ত্রাণ কার্যক্রম পাঠানো হয়েছে। অনেকে একই ত্রাণ দেওয়ায় একটি প্যাকেজ তৈরিতে বিভিন্ন জিনিসের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে সংগৃহীত টাকা থেকে সেগুলো কিনতে হয়। এগুলোর সমন্বয়ে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্য এবং ওষুধের প্যাকেজ তৈরি করা হয়।
এরকম ৮০০-১০০০টি প্যাকেজ এবং ২০-৩০ কেস পানি দিয়ে একটি ট্রাক পরিপূর্ণ করা হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় ২২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট বিকাল ৫টা পর্যন্ত যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় সেখানে ৫০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ৩ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে এবং ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আজকের গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় শুধুমাত্র নগদ টাকা ও ওষুধ সামগ্রী নেওয়া হচ্ছে। আর বাকি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জমা নেওয়া হচ্ছে।