টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যমুনার শাখা নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষে খেয়াপার নৌকার ২ যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তাদের উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
এঘটনায় বাল্কহেডের দুই জনকে আটক ও বাল্কহেডটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে টাঙ্গাইল নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানিয়েছেন।
রোববার রাত ৮ টার দিকে নিউ ধলেশ্বরী নদীতে উপজেলার জোকারচর এলাকায় খেয়াঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাঁদের সন্ধানে সোমবার সকাল ৭টা থেকে উপজেলার জোকারচর এলাকায় নদীতে অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সদস্যরা। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ দুই যাত্রী হচ্ছেন, উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মুক্তার হোসেন(৩২) এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাঙ্গাচুইরা গ্রামের মৃত রহম প্রামানিকের ছেলে বাবু প্রামানিক (৩০)।
আটকরা হলেন,বালুবাহী বাল্কহেডের মাসুম গাজী ও রাশেদুল ইসলাম। মাসুম বরগুনা জেলার আমতলী থানার দক্ষিণ পশ্চিম গ্রামের তোতা গাজীর ছেলে ও রাশেদুল ইসলাম মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৮ টার দিকে বালুবাহী বাল্কহেড কালিহাতী এলাকায় থেকে বালু আনতে যমুনা নদীর দিকে যাচ্ছিল। এসময় উপজেলা জোকারচর খেয়াঘাট থেকে ১৫-২০ জন যাত্রী নিয়ে খেয়ানৌকা ওপারের উদ্দেশে রওনা হয়। এসময় বাল্কহেডের সঙ্গে খেয়ানৌকার সংঘর্ষে খেয়ানৌকার যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। সাতরে যাত্রীরা পাড়ে উঠতে পারলেও বাবু ও মুক্তার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
টাঙ্গাইল নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, ‘বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষে খেয়ানৌকার দুজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তাদের উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বাল্কহেডটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে ও বাল্কহেডের দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।