টাঙ্গাইলের মধুপুরে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ ১২জন বন্দির মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে গারো কোচ সম্প্রদায়েরা লোকেরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠন, আচিক মিচিক সোসাইটি, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ, কোচ আদিবাসী সংগঠন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের একাংশ ও গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মধুপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েকশত গারো কোচ নারী পুরুষরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানব বন্ধন শেষে এ স্মারক লিপি প্রদান করে।
মানব বন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি থমাস চাম্বুগং, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের মধুপুর শাখার সভাপতি তুষার নেকলা, বাগাছাসের মধুপুর শাখার লুসি রিছিল, কোচ আদিবাসী সংগঠনের নেতা ভরত বর্মন, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রিসার্ড মৃ, আদিবাসী নেত্রী রোজী ম্রং, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের থানার বাইদ শাখার সভাপতি এজেজ রেমা, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন হাগিদক, কোচ আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি গৌরাঙ্গ বর্মন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীন চিসিম, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজ উদ্দিন, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নারী নেত্রী মেগি মেদিলিনা ম্রং,অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রবীর কুমার বর্মণ, ইদিলপুর গ্রামের উৎপল রেমা প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের খ্যাতনামা সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে গাছ চুরির মামলা করায় ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাকেসহ ১২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বক্তারা, এই মামলাকে মিথ্যা ও ভূমিহীন আদিবাসী জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন। সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের ৮৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিবাদীর দায়ের করা মামলায় তিনি’সহ আরো ১১ জন জেল হাজতে রয়েছেন।