ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সিন্ডিকেট সদস্য।
তাদের একজন বলেন, “জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কেবল ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের এজেন্ডাই ছিল। আলোচনার পর ক্যাম্পাসের ভেতরে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।”
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানোর কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মুখপাত্র ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, “সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের বিস্তারিত মতামত দিয়েছেন। সেই আলোকে আমরা একটা সিদ্ধান্ত পৌঁছেছি, যা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত প্রকাশ করব।” তবে সিদ্ধান্তটা কি, সে বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আলোচনা চলে আসছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেও পরিবর্তন আসে। নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আড়াই মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর দিন নির্ধারণ করেছে। এর আগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।