টাঙ্গাইলের সখীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নূরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক। বুধবার (৬ নভেম্বর) আসামিদের গ্রেপ্তারে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তারা।
বুধবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন তারা। সখীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপজেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে থানা ঘেরাওসহ নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন তারা। মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষকের মেয়ে নিপা আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। আসামিরা হলেন দাড়ি পাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল, সমন্বয়ক পরিচয় দাবি করা খায়রুল, হামিদুর ও সজীব।
ওই শিক্ষককে ‘কুকুর’ সম্বোধন করে তার ছবি দিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন এক শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে বাজারে ওই শিক্ষককে অপমানও করা হয়। গতকাল সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই শিক্ষকের স্বজনদের অভিযোগ, অপমান সইতে না পেরে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি খুরশিদ জাহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক টিটু, সাবেক সভাপতি জাহানারা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, জাতীয়করণ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন, ইসমাইল হোসেন, শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।