টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ গত প্রায় দেড় যুগ ধরে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে। এরজন্য বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলমসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপির ১৭ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের সাথে ছাত্রদের আন্দোলন স্ফুলিঙ্গ হলে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। গত ৫ আগষ্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আবার কেন গনতন্ত্রমনা মানুষের সমাবেশ করতে হচ্ছে। ভোট নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা জনগন মেনে নেবেনা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ভোট নিয়ে নানা বাহনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি আছে কিন্তু ভোট না দিয়ে থাকতে পারেনা। ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেজন্য সংস্কার সংস্কার বলে সময় ক্ষেপণ করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনের জন্যই দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদেরকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমুল্যের দাম এখনো সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। আসন্ন রমজানে যেন কোনভাবেই দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি না পায় তার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন ড. মঈন খান।
নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গনতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি’সহ বিভিন্ন জনদাবিতে টাঙ্গাইলে এ সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশটি এক পর্যায়ে জনসভায় রুপ নেয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধঅরন সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।
সমাবেশে বিএনপি’সহ এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করে। নির্ধারিত সময়ের পুর্বেই সমাবেশস্থল পরিপুর্ন হয়ে যায়।