টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলার শোলাকুড়া বাজারে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় শোলাকুড়া বাসস্ট্যান্ড ও বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সোমবার শোলাকুড়া বাজারে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভাংচুরের ছবি তোলার সময় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কালিহাতী প্রতিনিধি তারেক আহমেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার উপজেলার বাংড়া পীরসাব বাড়ীতে মুলিয়া ও কাকরাইল গ্রামের মানুষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে মুলিয়া গ্রামে মিমাংসার জন্য সালিশের আয়োজন করেন।
এসময় সালিশে উপজেলার মুুলিয়া ও সাকরাইল গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সালিশে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহদেবপুর, মুলিয়া ও সাকরাইল তিন গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় সড়কের দুই পাশে যানজটের কারণে গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার উপজেলা বাংড়া পীরসাব বাড়ীতে মুলিয়া ও কাকরাইল গ্রামের মানুষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে মুলিয়া গ্রামে মিমাংসার জন্য সালিশের আয়োজন করেন।
সংঘর্ষ ও ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন। এসময় তাদের সামনেই হামলাকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতরা হলেন,শুকুর মাহমুদ (৭০) আলামিন তালুকদার (৩০) শফিকুল ইসলাম শরীফ (৫৮) তানভীর হোসেন (১৫) মোবারক (৫০), বিপ্লব (২৪) শহিদুল ইসলাম(৫০),জাহান (৫৫),আব্দুল মালেক (২৫), শাহিনুর ইসলাম (২৫),আমির হোসেন (৫৪),জয়নাল (-),আশরাফুল আলম(২৪)মেহেদী হাসান (১৮),আবু বকর (১৮)।
কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র মুলিয়া, সাকরাইল ও সহদেবপুর গ্রামের তিন গ্রামের মধ্যে হামলা- পাল্টা হামলা ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক খায়রুল ইসলাম জানান, আপাতত পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে রয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলরত আছেন। পরবর্তীতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমরা যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।