টাঙ্গাইলের মধুপুর ‘সহ বিভিন্ন বনের শাল ও গজারী গাছ ব্যবহার করে ঘর বাড়ি নির্মানের অভিযোগে উঠেছে। এছাড়াও শহরের বেশীরভাগ বহুতল ভবন নির্মানের জন্য পাইলিং করতে অবৈধভাবে শাল ও গজারী গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে। বনবিভাগ ও অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে রাতের আঁধারে বনের গজারী ও শালগাছ কেটে দিনের বেলায় ঘর নির্মান কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের হাসিল গ্রামে শাল কাঠ ব্যবহারের সময় শালগাছ জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মধুপুরের শালবন পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এমন সময়েও বন বিভাগের অসাধু ব্যক্তিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শাল গজারী গাছ বিক্রি ও পাচারে সহযোগিতা করছে। মধুপুর বন থেকে পাচার হওয়া অর্ধশতাধিক বিশালাকারের শালগাছ উদ্ধার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। ওই শালগাছ গুলো মধুপুর বন থেকে কেটে এনে মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের হাসিল গ্রামের জহুর আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিনের বাড়ির পাইলিং করার সময় সেগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, মিনহাজ উদ্দিন বাড়ি নির্মানের জন্য ময়েন উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাইলিং করার চুক্তি দেয়। সেই চুক্তি অনুসারে ময়েন উদ্দিন নিজেই তার লোকজন দিয়ে পাইলিং করার সময় পুলিশ শালগাছগুলো জব্দ করে। এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবির জানান, অবৈধভাবে বন থেকে কেটে আনা শাল গজারি ব্যবহার করে পাইলিং এর কাজ চলছিল। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ গিয়ে ওই কাঠ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।