ঐতিহ্যবাহী ১০টাকার নোটের আতিয়া মসজিদ খুবই জীর্ণ দশায়, দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন || এই নোট আবার মুদ্রিত হোক
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ৪৫০ বছরের পুরাতন আতিয়া মসজিদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালীন সময়ে লুৎফর রহমান সরকার ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে মূদ্রিত দশ টাকার নোটে স্থান পায় এই বিখ্যাত মসজিদের ছবি।
এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয় ও বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রতিদিন পর্জটকরা এই আতিয়া মসজিদটি দেখতে আসে এবং ছবি তোলাসহ নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।
টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীন পুরাকীর্তি সংযুক্ত সৃষ্টিকর্মের ধারক বাহক এই বিখ্যাত মসজিদটির বর্তমানে জীর্ণ দশায় রয়েছে। অযত্ন অবহেলায় এ মসজিদ এখন এতটাই জরাজীর্ণ, যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে।
মসজিদের প্রধান গম্বুজের সাইটে ফাটল দেখা গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই মসজিদের ভিতরে পানি পড়ে নামাজের বেঘাত ঘটায়। মসজিদের দেয়ালের কারুকাজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদের মুসল্লিদের সাথে কথা বলে জানা যায় মসজিদটি যে কোন সময় ভেঙ্গ পড়তে পারে। আগের মতন এই মসজিদটি আর নেই। মসজিদটি অতি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
মসজিদের আশেপাশের লোকজনরা বলেন আমাদের নিজেদের টাকা দিয়ে এই মসজিদটির নির্মান কাজ করার কোন এখতিয়ার নেই। আমারা সরকারের কাছে একটাই দাবী করি মসজিদটি পুনরায় নির্মান করে আগের মতন ১০ টাকা নোটে আতিয়া মসজিদটি দেখতে চাই। মসজিদটি অতিদ্রুত সংস্কার না করলে যে কোন সময় ভেঙ্গে মুসল্লিদের উপর পড়তে পারে। মসজিদের চার পাশের দেয়ালগুলোর ইট ও কারুকাজ নষ্ট হয়ে পড়েছে। এই মসজিদটি পুনরায় সংস্কার না করলে হয়তো বা বিলুপ্তি হয়ে যাবে।