টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ,মানবিক পুলিশ হয়ে কাজ করার সর্বাত্মক চেষ্টা ও দায়িত্বপালন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমার বেডিং প্রস্তুত থাকে। বদলিযোগ্য চাকরি হওয়ায় দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন স্থানে চাকরি করার মানসিকতা রয়েছে। কাউকে খুশি রেখে আশ্রয় পশ্রয় দেয়া আমার কাজ না। পুলিশের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিক যাতে হয়রানি না হয় সেদিকে তার অধিনস্ত সকল সদস্যকে সতর্ক থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার প্রতি আস্থা রেখে মির্জাপুর থানায় পাঠিয়েছেন। তিনি তার কর্ম দক্ষতা দিয়ে তাদের মর্যাদা রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় থানায় তার অফিসে মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শামছুল ইসলাম সহিদ, সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, নিরঞ্জন পাল, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিঞা, সাংবাদিক শিলা আক্তার, জোবায়ের হোসেন ও ছানোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রেকর্ড করা হবে। ঢালাওভাবে মামলা ও আসামী করার বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সর্বশেষ তিনি টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর মোশারফ হোসেন মির্জাপুর থানায় যোগদান করেন। তার বাড়ি ময়মনসিং জেলার ভৈরব এলাকায়। গত (৫ আগষ্ট) আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলে মির্জাপুর থানার ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন দায়িত্ব পালন করেন।
ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বাবা আহমদ আলী একজন কৃষক। তার পরিচয়ে আমি গর্ববোধ করি। ১৯৯৭ সালে এসএসসি ও ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ হতে ২০০৫ সালে ব্যবস্থাপনা শাখায় মাস্টার্স পাশ করেন। ছাত্র জীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়িয়েছেন। তাছাড়া দুই বছর একটি কলেজে শিক্ষকতাও করেন। ২০০৭ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন।
তার স্ত্রী টাঙ্গাইল সরকারি কুমুদিনী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তাদের এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজসেবা-মূলক কাজে বিশেষ অবদান-রাখায় অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কর্তৃক ‘এস এম আহসান স্মৃতি পুরস্কার’ পান।
মোশারফ হোসেন ২০২২ সালে জুলাই মাসে টাঙ্গাইল জেলার প্রথম স্থান অধিকারী অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন থেকে মানবিক পদকসহ একাধিক পদক অর্জন করেছেন এ কর্র্মকর্তা। এ ছাড়াও কন্যা সন্তান জন্ম হলেই উপহার পৌঁছে দিয়ে প্রশংসিত হন মিডিয়াতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হন।