অবশেষে টাঙ্গাইল জেলা শহরের বেড়াডোমা এলাকার সেই অভিশপ্ত সেতু, স্টেডিয়াম ব্রীজ সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এ সেতুর উদ্বোধন করেন।
এতে টাঙ্গাইল শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল কারাগারের পাশে খালের উপর অপর একটি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্য নির্মিতি (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চারটি বিলের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দুই কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা পরিশোধও করা হয়। এরই মধ্যে গত ২০২২ সারের ১৬ জুন দেবে যায় নির্মাণাধীন সেতুটি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাহামভুক্ত নামধারী ঠিকাদারদের অভিযুক্ত না করে এককভাবে দায় চাপায় নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী. সহকারী প্রকৌশলী রাজিব কুমার গুহ ও উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম জিন্নাতুল হকের উপর। তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। ব্রীজটি দেবে যাবার ফলে টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত কয়েক বছর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারন মানুষদের। পরে ঠিকাদারগণ নিজ অর্থায়নে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করলে ২০২২ সালের ১৬ আগষ্ট পুনরায় নির্মান কাজ শুরু হয়। এক বছর তিন মাসে সংশ্লিষ্টদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্রীজের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। এতে নতুন করে সরকারের কোন আর্থিক ক্ষতি হয়নি। ব্রীজটি উদ্বোধনের পর টাঙ্গাইলে পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হলো বলে মনে করেন সড়ক ব্যবহারকারীরা।