টাঙ্গাইলের বাসাইল-মির্জাপুর উপজেলার দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের জন্য বংশাই নদীর উপর পারাপারের জন্য সেতু না থাকায় দুই পারের বাসিন্দারা কষ্টের জীবনযাপন করছে। বর্ষাকালে খেয়া নৌকায় পার হতে হয় আর শুকনো মৌসুমে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ সিএনজি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল কিংবা হেঁটে পার হয়। সেই বংশাই নদীর জন্মলগ্ন থেকেই এখানে কোন সেতুর অত্বিস্থ তখনও ছিলো না, এখনও নেই। বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার জনগন পথে চেয়ে আছে সেতুর জন্য।
জানা গেছে, দুই উপজেলার সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান বৃন্দ বার বার কথা দিয়েছিলেন দ্রুত সিঙ্গার ডাক-পাথরঘাটার সংযোগে বংশাই নদীর উপর একটি বিশাল সেতু নিমার্ণ হবে। জানা যায়, বাসাইল উপজেলার সিঙ্গারডাক থেকে মির্জাপুর উপজেলার পাথরঘাটা হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খেয়াপাড় হয়। এটা মূলত বাসাইল থেকে মির্জাপুর যাওয়ার সংক্ষিপ্ত বা সহজ রাস্তা। এছাড়া এ পথ দিয়ে সখিপুর উপজেলায়ও যাওয়া যায়।
শুকনো মৌসুমে বংশাই নদীর পানি পুরোপুরি শুকিয়ে না গেলেও নদীর মাঝ পথে খালের মতো হয়। বাঁশের তৈরী সাঁকো পেরিয়ে দুই এলাকার জনগন সিএনজি, মোটর সাইকেল, ভ্যান, বাইসাইকেল কিংবা পায়ে হেঁটেই নদীর পাড় হয়। বর্ষা কালে প্রচুর পানি থাকায় এবং শুকনো মৌসুমে বংশাই নদী পারাবারের স্থানটুকু থাকে ভাঙ্গা চোরা। যে কারণে চলতি পথে মোটর সাইকেল কিংবা ভ্যান নিয়ে চলাচল করা কঠিন।
বাসাইল উপজেলার সিঙ্গার ডাক হাই স্কুলের শিক্ষক হারুনের বাড়ী মির্জাপুরের পাথরঘাটায়। তিনি বলেন, আমাদের বংশাই নদীর উপর একটা সেতু থাকাটা খুবই জুরুরী। বর্ষাকালে প্রচুর পানি প্রচুর পানি এবং শুকনো মৌসুমে ভাঙাচোরা পথে ধুলাবালি থাকে। সেতু না থাকায় আমাদের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। আমাদের প্রাণের দাবী একটি সেতু।’
পাথরঘাটা এলাকার টাঙ্গাইল পলিটেকনিকের ছাত্র শাকিল বলেন, টাঙ্গাইলে যেতে হলে এই পাথরঘাটা ঘাট পার হয়ে বাসাইল হয়ে আমাদের এই পথেও যেতে হয়। মির্জাপুর বাসস্টান্ড হয়ে টাঙ্গাইল যাওয়া খুবই সমস্যা। এই পথে একটি বড় সেতুর আমাদের আবদার’।
দোকানদার মোহাব্বদ আলী বলেন, আমাদের অনেক দিনের আশা একটি বড় ব্রীজ হবে। বাসাইল ও মির্জাপুরের সংসদ সদস্যরা একত্র হয়ে এই এলাকায় মিটিং করে সিন্ধান্ত নিয়েছিলো বড় ব্রীজ করার। এখনতো ক্ষমতায় নাই। আবার নতুন করে আমাদের নেতাদের পিছনে পিছনে ঘুরতে হবে।
সখিপুর উপজেলার কামেলিয়া চ্যালার মাদ্রাসার শিক্ষক শামসুজ্জামান বলেন,আমি মাঝে মাঝে এই পথে যাতায়াত করি। আমাদের অনেক দিনের দাবী ছিলো চলাচলের জন্য বড় সেতু। যা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছিলো। তবে এই মুহুতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের দিকে একটু নজর দিয়ে নদী পারাপারের সমস্যা দূর করেন।”
ঘাটের ইজারাদার রতন মিয়া বলেন, আমি ৩০ বছর যাবত এই ঘাটের ইজারাদার। আমিও জনগনের সাথে এ বংশাই নদীর পারাপারের জন্য একটি বড় সেতু চাই”।