টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরিতে ক্লুলেস দুর্ধর্ষ ডাকাতির মামলায় ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির মালামাল। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন- মামুন, মাসুদ, সুরুজ, নাঈম, রাসেল, কাজল ড্রাইভার, রাশেদুল, নান্নু ও বেল্লাল হোসেন। তারা সবাই আন্তঃজলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ৩ মে মধুপুরের মহিষমারা এলাকায় অবস্থিত আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরিতে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান শুরু করে। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকা থেকে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকার একটি পিকআপ ভ্যান গাড়ি, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার তামার তার, ৫০ হাজার টাকার মেইন তামার তার, ৪০ হাজার টাকার জেনারেটর তামার তার, সাড়ে ৩ হাজার টাকার ১২ ভোল্টের ব্যাটারি ও ৪৪ হাজার টাকার সিসা উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে আনাম গ্রীন ফুয়েল এনার্জী রিসোর্স ফ্যাক্টরীর ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম (৭২) এ সংক্রান্তে মধুপুর থানায় এজাহার দাখিল করলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল কবির মধুপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখঃ ০৩/০৫/২০২৫খ্রি, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু করেন এবং মামলাটির তদন্তভার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়ার উপর অর্পণ করেন। ঘটনার পরই টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধায়নে সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুর সার্কেল আরিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল কবির, ইন্সপেক্টর তদন্ত রাসেল আহমেদ পিপিএম বিশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গ্লোবাল লোকেশন ট্র্যাকিং, স্থানীয় সোর্স এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান শুরু করেন। উক্ত টিম ঘটনাস্থলের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে কয়েকজন ডাকাতকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করেন। সনাক্তকৃত ডাকাতদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ১৩ মে ২৫ খ্রিঃ তারিখে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সহিত জড়িত (১) কাজল ড্রাইভার (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ৮ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।