টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় আবেদন করে ৫ জন নারী ‘সহ ৫০ জনের পুলিশে চাকরি হয়েছে। চাকরি প্রার্থী ছিল ২৭৭১ জন। টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্সের গ্রিলশেডে বুধবার (১৪ মে) রাতে চাকরি প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষনা করেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মর্জিনা বেগম। তার একমাত্র মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথির স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে পুলিশে যোগদান করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবল পদে। এর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। আনন্দ অশ্রু নিয়ে বিথি বলেন, ‘অভাবের সংসার থেকে এ সময়ে চাকরি পেলাম মাত্র ১২০ টাকায়, যা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এখন অভাবী মাকে সাহায্য করতে পারবো সংসারে। বাবা অনেক আগে আমার মা ও আমাকে রেখে চলে গেছে।
ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া এলাকার কুসুমী সূত্রধরের মেয়ে রাখী সূত্রধর বলেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবো এখন। দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ পেলাম। খুব ভালো লাগছে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে। ফয়সাল নামে একজন বলেন, ‘বাবা কৃষক। কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। দেশের সেবা করতে চাই নিজের জীবন বাজি রেখে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, একদম স্বচ্ছভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে। এবার কোনো কোটায় নিয়োগ হয়নি। এবার টাঙ্গাইলে ২ হাজার ৭৭১ জন আবেদন করেছিল। এর মধ্য থেকে ৫০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে আরও দশজন। নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান সরকার ও মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন।