বিদ্যমান কমিটি ভেঙে দিয়ে দাবা’সহ জাতীয় ৯টি ক্রীড়া ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি ঘোষিত হয়েছে। দাবা ফেডারেশনের ১৪ সদস্যের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান শামীম আকন্দ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
গত ৩০ আগস্ট ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ফেডারেশনে সংস্কারের উদ্দেশ্যে পুরোনো কমিটি বাতিল করে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি হয়েছিল। এই সার্চ কমিটি নানা প্রক্রিয়া শেষে ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা হয়। দাবা ফেডারশেনের কমিটিতে মধুপুরের কৃতি সন্তান শামীম আকন্দ সদস্য হিসেবে আছেন।
শামীম আকন্দ সৃজন প্রত্যয়ে আন্দোলিত ও সক্রিয় একজন চিত্রশিল্পী, দাবাড়– ও দাবা সংগঠক। প্রতিভাধর এই শিল্পী একাধারে কবি, চিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনে যুক্ত। ‘‘সাদাকাল ৬৪’’ নামে দাবা পত্রিকার সম্পাদক। ‘‘ঝুনঝুনি’’ শিশু সাহিত্য পত্রিকার সহ সম্পাদক। মধুপুর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি’র সভাপতি। টাঙ্গাইল জেলা যুব সমিতি, ঢাকা’র ক্রীড়া সম্পাদক। ‘‘আমি একা নই’’ নামে তার একটি পকেট কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে। তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘‘চিরকুট’’, ‘‘ছায়াভয়’’, ‘‘মাটির মানুষ’’ ‘‘তাড়া’’ এ্যানিমেশন ফিল্ম ‘‘পিংক ড্রপস’’ ও ডকুড্রামা ‘‘সায়হানের নানুবাড়ি’’।
বহু প্রতিভার অধিকারী শামীম আকন্দ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হরিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করলেও বেড়ে উঠা মধুপুরে। মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এস এস সি, ১৯৯৬ সালে মধুপুর কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করে ২০০৪ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হন। ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাবা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এ কর্মরত আছেন।